কাউন্সিলের উদ্দেশ্য
কৃষি ও উদ্যানজাত পণ্যের রপ্তানিকে উন্নীত করতে, শিল্পকে সঠিক প্রযুক্তি অর্জনে সহায়তা করতে, রপ্তানি-বিপণন দক্ষতার বিকাশ, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কর্মশালা/ সেমিনারের মাধ্যমে উন্নয়ন, কৃষি ও উদ্যানতত্ব খাতে মূল্য সংযোজন পণ্যের প্রচার; উৎপাদন ও রপ্তানি সংক্রান্ত সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সরকারের জন্য নীতিগত সুপারিশ প্রণয়নের উপর দৃষ্টিনিবদ্ধ করা, বিভিন্ন কম্প্লায়েন্স বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা ইত্যাদি।
কাউন্সিলের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিনির্ভর। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারের বাস্তবমূখী পদক্ষেপ এবং কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে দেশ খাদ্য উৎপাদনে অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতায় পৌঁছেছে। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় বাস করে এবং তাদের মধ্যে ৬২ শতাংশ প্রত্যক্ষ এবং অন্যরা পরোক্ষভাবে কৃষি ও কৃষিজ কাজে জড়িত। কৃষিখাত দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখে এবং মোট শ্রমশক্তির ৬৩ শতাংশের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
ধান, পাট, আখ, আলু, ডাল, গম, চা, তামাক, তৈলবীজ, মসলা এবং ফলমূল বাংলাদেশের প্রধান ফসল। এই খাতের কিছু পণ্য বর্তমানে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। কৃষিপণ্যের বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণে নির্ভর নীতিগত সহায়তা, প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ, প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক তথ্যের প্রাপ্যতা, প্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়ন, শিলেপর সক্ষমতা বৃদ্ধি, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং কৃষিখাতের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বাধা অপসারণ।
বাংলাদেশের মাটির অবস্থা, ভূ-সংস্থান ও জলবায়ু ভূমিকে বহুলাংশে উর্বর করে তুলেছে এবং গুনগতমান সম্পন্ন খাদ্যশস্য, ফল ও সবজি উৎপাদনের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছে। আলু, ফুলকপি, টমেটো, সাদা করলা, শিম, পালংশাক, মটর এবং বেবিকর্ণের মতো সবজি এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে উৎপাদন করা হচ্ছে এবং পাশাপাশি ব্রকলি, গাজার, সেলারি, ক্যাপসিকাম ও স্ট্রবেরিও উৎপাদন করা হচ্ছে। এগুলোর অধিকাংশেরই রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আলু ফ্লেক্সেরও প্রচুর আন্তর্জাতিক চাহিদা রয়েছে এবং এর উৎপাদন প্রযুক্তি তুলনামূলকভাবে সহজ এবং শ্রম সাশ্রয়। বাংলাদেশে এ ধরনের শিল্পের বড় সম্ভাবনা থাকা উচিত।
এপিবিপিসি এর কার্যক্রম
এপিবিপিসি নিম্নলিখিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে;
ক) সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচী, সচেতনতা কর্মসূচী, কর্মশালা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মসূচী।
খ) বিদেশী বাণিজ্য মিশন, প্রযুক্তি মিশন।
গ) সেক্টর নির্দিষ্ট আপগ্রেডেশন এবং নতুন প্রযুক্তি স্থানান্তর।
ঘ) প্রচারমূলক কর্মসূচী এবং জনসংযোগ কর্মসূচী।
ঙ) বাজার অধ্যয়ন ও গবেষণা।
চ) সংযোগ উন্নয়ন।
ছ) গোল টেবিল আলোচনা।